আমার দরকার একমুঠো ইটের গুঁড়ো,দেহে কাদামাখা জামার আবরণ। গ্রীষ্মের দুপুর যখন চলছেই এখন--তাই কোনো ছোট আমগাছের হাত, যা বাড়াবে আমার দিকে,হাত ধরে থাকবো বসে,দুপুর কাটাবো আমের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে। বিকেল যখন আসবে তখন বয়সের ওজনকে একটু কমানোর জন্যই বৃষ্টিকে চাই,ধুইয়ে দেবে আমায়,সারা গায়ে মাখবো ফেলে আসা সব বাদামি,লাল রঙের কাদা মাটি গুলো,ইচ্ছেরা বেয়াড়া হবেই জানি,এখনো শৈশব বেঁচে আছেই।
কিন্তু প্রশ্ন জাগে মাঝে মাঝে যে, যেগুলো আমি পেতাম তখন,এখন পাই না কেন?
সেসব ভাবলেই মনে হয় এটা বোধহয় বৃষ্টির দোষ,আবার অনেক সময় মনে হয় দোষ দিয়েই কি হবে এখন তো নিজেকে আড়ালে রাখি,শীততাপের মধ্যে সাদা চামড়ায় আবরণে ঢাকি, মনের ইচ্ছে গুলোকে কাজের মেয়াদে লুকোই,আর তার থেকে বেশি হলে টিভির মধ্যে ঢুকে পড়ি কোনো পর্যটকের মতো| কি বেয়াদপ সবাই,এখন তো আর আগের মতো আইসক্রিমের লোকটাও আমার পাশের ফ্ল্যাটের গলি দিয়ে ডাক দিয়ে যায় না! শুঁয়োপোকার মতো নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছি যেন একটা রেশম গুটির মধ্যে,পরিবর্তনের নামে আরামের আদর চেয়ে|
আমাকে কেও যদি দিয়ে যেতে পারতো একটু রামধনুর রং,সাতটা রঙ না হলেও চলবে,হাতে গুনে দু-একটাই দিয়ে যাও,অনেক দিন রং মিলান্তি খেলার চলে দিগন্তের ধারে গিয়ে পশ্চিমি পাঁচিলে ডাক পাড়িনি,খুব ইচ্ছে হয় জানো, কিন্তু আমার পা বেঁধে রেখেছে এক অবচেতন শিকলের বাঁধন,খুলতেই পারছিনা, চাবিকাঠিটা হারিয়ে এসেছি এগারো বছর আগেই| এখন শুধু ছুটে বেড়াই,বড়ো হওয়ার তাগিদে ব্যস্ততাকে পিঠে নিয়ে বয়ে বেড়াই, কাঁধের দু-পাশে কত ক্ষতের দাগ যেগুলো ছুঁয়ে দেখতে পারে না কেও,শুধু বুঝতে পারি আমি। উড়ান দিতে আমিও চেয়েছিলাম কিন্তু উড়ানের নাম নিয়ে যে হাওয়ার স্রোতে নিজেকে বইয়েছিলাম সেটার নিজেরই কোনো অন্তমিল নেই| আমি এখন প্রায় হারাতে বসেছি রামধনুর রঙের পাতাগুলো, একটা একটা করে যেন পাতাগুলো ঝরে পড়ছে, মুখ ঢাকছে পুব-আকাশের পাদদেশের উল্টো উপত্যকায়| কোনো নতুন সাজ নেই, আছে কিছু জোকার মুখো অট্টহাসির দল, কানে রক্ত ঝরে, চোখে বিষণ্ণ নামে অবিরাম|
যদি কেও আমায় এক আঁজলা জল দিতে খুব আরাম পেতাম আমি, কিন্তু কোনো রকম ফ্রিজের থেকে না, আমার ফেলে আসা পাড়াতে যেখানে টিউবয়েলটা এখনো দাঁড়িয়ে আছে তার পথিকের অপেক্ষায়, তার মুখের থেকে একটু আরামের জল আমার নামে ধার করে নিয়ে আসতে পারো। আমি ধার মিটিয়ে দেব তার, যখনি সময় পাবো, আমি তার পাশে গিয়ে দাঁড়াবো, কথা বলবো না হয় তার মতো করেই,যেমনটা করতাম আগে,সবাই খেয়ালি খেলার শেষে চার-পাঁচটা তৃষ্ঞার্ত হাত তাকে ছুঁয়ে তার একাকিত্বকে দূর করে জল নিতাম চেয়ে| এখন আমি না হয় আমার দুটো হাত দিয়েই তার একাকিত্বকে মেটাবো |
আবার সেই একটা জায়গাতে গিয়েই ধাক্কা খাই,পারবো তো সত্যি? যদি না পারি তাহলে নিজেকে উত্তরে কি বলবো?
আমাকে কেও যদি দিয়ে যেতে পারতো একটু রামধনুর রং,সাতটা রঙ না হলেও চলবে,হাতে গুনে দু-একটাই দিয়ে যাও,অনেক দিন রং মিলান্তি খেলার চলে দিগন্তের ধারে গিয়ে পশ্চিমি পাঁচিলে ডাক পাড়িনি,খুব ইচ্ছে হয় জানো, কিন্তু আমার পা বেঁধে রেখেছে এক অবচেতন শিকলের বাঁধন,খুলতেই পারছিনা, চাবিকাঠিটা হারিয়ে এসেছি এগারো বছর আগেই| এখন শুধু ছুটে বেড়াই,বড়ো হওয়ার তাগিদে ব্যস্ততাকে পিঠে নিয়ে বয়ে বেড়াই, কাঁধের দু-পাশে কত ক্ষতের দাগ যেগুলো ছুঁয়ে দেখতে পারে না কেও,শুধু বুঝতে পারি আমি। উড়ান দিতে আমিও চেয়েছিলাম কিন্তু উড়ানের নাম নিয়ে যে হাওয়ার স্রোতে নিজেকে বইয়েছিলাম সেটার নিজেরই কোনো অন্তমিল নেই| আমি এখন প্রায় হারাতে বসেছি রামধনুর রঙের পাতাগুলো, একটা একটা করে যেন পাতাগুলো ঝরে পড়ছে, মুখ ঢাকছে পুব-আকাশের পাদদেশের উল্টো উপত্যকায়| কোনো নতুন সাজ নেই, আছে কিছু জোকার মুখো অট্টহাসির দল, কানে রক্ত ঝরে, চোখে বিষণ্ণ নামে অবিরাম|
যদি কেও আমায় এক আঁজলা জল দিতে খুব আরাম পেতাম আমি, কিন্তু কোনো রকম ফ্রিজের থেকে না, আমার ফেলে আসা পাড়াতে যেখানে টিউবয়েলটা এখনো দাঁড়িয়ে আছে তার পথিকের অপেক্ষায়, তার মুখের থেকে একটু আরামের জল আমার নামে ধার করে নিয়ে আসতে পারো। আমি ধার মিটিয়ে দেব তার, যখনি সময় পাবো, আমি তার পাশে গিয়ে দাঁড়াবো, কথা বলবো না হয় তার মতো করেই,যেমনটা করতাম আগে,সবাই খেয়ালি খেলার শেষে চার-পাঁচটা তৃষ্ঞার্ত হাত তাকে ছুঁয়ে তার একাকিত্বকে দূর করে জল নিতাম চেয়ে| এখন আমি না হয় আমার দুটো হাত দিয়েই তার একাকিত্বকে মেটাবো |
আবার সেই একটা জায়গাতে গিয়েই ধাক্কা খাই,পারবো তো সত্যি? যদি না পারি তাহলে নিজেকে উত্তরে কি বলবো?
ইটগুঁড়ো,কাঠের ভেলা,পাথর ঘষা কাঠগুড়ি,কথার নামে কাদা ছোড়াছুড়ি,অল্প বিস্তর ধুলোর বিছানাতে বিকেলে লুটোপুটি, সব কিছুই হয়তো আছে এখনো শুধু বদলে গেছে তাদের রূপ,আফশোষ বলতে একটাই যদি তারা এখনো থেকেই থাকে তাহলে আমার কাছে নেই কেন তারা?
উত্তর খোঁজা ছেড়ে দিয়েছি সেদিন থেকেই যেদিন থেকে নিজেকে শুঁয়োপোকার মতো গোটানো শুরু করেছি ওই আরামের গুটিতে, যেখানে চেয়েছিলাম কিছু বিবর্তন আসুক আমার মনে, প্রাণে। কাজ খোঁজার নামে নিজেকে এখনো ভাসিয়ে যাচ্ছি ব্যস্ততার জলসাঘরে|
উত্তর খোঁজা ছেড়ে দিয়েছি সেদিন থেকেই যেদিন থেকে নিজেকে শুঁয়োপোকার মতো গোটানো শুরু করেছি ওই আরামের গুটিতে, যেখানে চেয়েছিলাম কিছু বিবর্তন আসুক আমার মনে, প্রাণে। কাজ খোঁজার নামে নিজেকে এখনো ভাসিয়ে যাচ্ছি ব্যস্ততার জলসাঘরে|
একবার শুধু একবার ফিরে যাওয়ার ইচ্ছে আছে আমার,সেই পুরোনো গাছের ডালে পা দোলানোর নামে,পাতার হাতে নিজেকে নিতাম মুড়ে,ডাক পড়তো কিছু ঘুঘুর,শিস শুনতাম দোয়েলের,কাঠঠোকরার ঠক ঠক বায়না শুনে আরেকবার ঘরে ফিরতাম ধুলোতে মুখ মুছে |
শুধু একবার হ্যাঁ শুধু একবার আঙ্গুল কেটে বোঝাতাম মনকে ওটা খেলতে গিয়েই লেগেছে আমার বুকে |